ভার্চুয়াল এই বিশ্ব আমাদের সব অভ্যাস গুলোকে পরিবর্তন করি দিয়েছে।আগের মতো সনাতন পদ্ধতিতে আর কিছুই হয় না ভার্চুয়াল এই প্লাটর্মে। আর ভার্চুয়াল এই প্লাটফর্ম টি তৈরি হয়ে উঠেছে বিভিন্ন পদ্ধতিতে। এর মধ্যে বিজ্ঞাপন বা এডস ব্যাপারটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়ে থাকে।আগে কোনো কম্পানি তাদের মার্কেটিং করার জন্য বিভিন্ন পোস্টার রাস্তায় রাস্তায় টানিয়ে রাখতো অথবা টিভিতে এড দিয়ে দিতো। কিন্তু বর্তমানে এই ব্যাপারটি ভার্চুয়াল নির্ভর হয়ে দাড়িয়েছে। এখন কোনো কম্পানি মার্কেটিং এর জন্য আর পোস্টার ছাপায় না।তারা সরাসরি গুগল বা ফেসবুকের সাথে যোগাযোগ করে বিজ্ঞাপন দিয়ে দেয়।আমরা ইদানীং অনেক কোনো ওয়েবসাইটে ঢুকলেই আমাদের সামনে কোনো কম্পানির এডস দেখানো শুরু করে যেটা কি আমাদের জন্য একটু বিরক্তিকর। কিন্তু বিরক্তিকর হলেও এই এডস দেখানোর মাধ্যেমেই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ উপার্জিত হয়। আমাদের যাদের ওয়েবসাইট রয়েছে তারা সবাই আমরা গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে মনিটাইয করে নিয়েছি।কিন্তু সমস্যা হলো আমাদের ওয়েবসাইট এর ভিজিটর সংখ্যা তেমন একটা হয় না।এর ফলে আমাদের ডলার ও কম জমা হয় আমাদের একাউন্টে।
আজকে এই ব্লগটিতে আমি শেয়ার করার চেষ্টা করব যে কিভাবে আমরা ইভেন্টস এর মাধ্যমে আমাদের ওয়েবসাইটগুলোর ভিজিটর সংখ্যা বাড়াতে পারি।সাধারণ ফেসবুক এবং গুগল এডস নিয়ে কাজ করে থাকে তাই এই বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে আমি এই ব্লগটি উপস্থাপন করব।তো আর বাড়তি কথা না বলে আসল কথায় আসা যাক।
ইভেন্টস আসলে কি?
ইভেন্ট এর ব্যাবহারিক ভাষা ভিন্ন হলেও এখানে অন্য ভাবে বলা হয়েছে।আমরা একটি ওয়েবসাইটে ঢুকলে বা কোনো লিংক এ ঢুকলে হঠাৎ করেই আমাদের অন্য একটি লিংকে প্রবেশ করিয়ে দেয়।এইটি আসলে একটি সিস্টেম।আমরা গুগল যদি কোনো কিছু নিয়ে সার্চ করি তবে কিছুক্ষন পর আমরা কোনো ওয়েবসাইটে ঢুকলে আমরা অই সার্চ করা জিনিসের মার্কেটিং দেখতে পাব।
এইগুলো আসলে ই-কমার্স এর বিষয়। ওয়েবসাইট মনিটাইজ অন হবার পর গুগল খুব নিখুত ভাবে এডস দেখানোর কাজটি করে থাকে।যাতে আমাদের যার যেটা প্রয়োজন সেই হিসেবে আমাদেরকে এডস দেখাতে পারে।
যেভাবে ইভেন্টস এড করব-
আমাদের ওয়েবসাইটে গুগল পিক্সেল এবং ফেসবুক হতে কোনো এডস মনিটাইজিং ছাড়াও শো করাতে পারি। এর জন্য আমাদের প্রোগ্রামিং বিষয়ে হালকা জ্ঞান থাকা লাগবে। কোডিং করে এর মাঝে এডস এর নানা কোড বসিয়ে দিয়েও আমরা এই কাজটি সহজেই করে ফেলতে পারি।আসলে এই ট্রিকস গুলো সবার জন্য উন্মুক্ত করে রাখে না গুগল বা ফেসবুক। হাইডেন এই টিপস গুলো বেশ কার্যকর হয়ে থাকে আমাদের জন্য।
ফেসবুকে এডস এর জন্য যে যে বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত-
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম হলো ফেসবুক। আমরা ফেসবুক ব্যাবহার করে সবচেয়ে বেশি পরিমান মার্কেটিং করে থাকি।স্টান্ডার্ড ইভেন্ট এর জন্য বেশ কিছু দিকে খেয়াল রাখতে হবে ফেসবুক এর ক্ষেত্রে।
- কন্টেন্ট এর বিষয়
- কোনো কিছু খোজা
- কার্ট এ যোগ দেওয়া
- পেমেন্ট মেথড
- পারসেস সম্পর্কে
- রেজিষ্ট্রেশন সম্পুর্ন করা
গুগল পিক্সেলের ইভেন্টস
আমরা ফেসবুক এর পাশাপাশি গুগল পিক্সেল দিয়েও আমাদের ওয়েবসাইটের মার্কেটিং বেশ ভালোভাবেই করা সম্ভব। এর জন্য কিছু কোডিং প্যাড ব্যাবহার করতে হবে।
আমাদের ওয়েবসাইট এর সাথে নিচের দেওয়া এই কোডটি ব্যাবহার করলে এই গুগল পিক্সেলের কাজ অনেকটা আগাবে।
এখানে গুগলের লিংকটি ব্যাবহার করতে পারবেন এক্সামপলের জায়গায়। এবং আপনার পছন্দ অনুযায়ী একটা নাম বা অন্য কিছু বসিয়ে দিতে পারবেন এর মাঝে।
ক্রেতা টার্গেট করা-
এডস গুলো দেখানোর মুল উদ্দেশ্যই হচ্ছে ভিক্টিমকে টার্গেট করা।অর্থাৎ কোন ব্যাক্তি কি চায় কোন ব্যাক্তির কি প্রয়োজন সে অনুযায়ী আমাদের এডস গুলোকে দেখানো উচিত। যেমন ধরুন একজন ছাত্রের প্রয়োজন হলো একটি কলম।এখন এখানে ছাত্ররা হচ্ছে আমাদের ভিক্টিম।আমাদের কাজ হচ্ছে ছাত্রদের কে খুজে খুজে তাদের কে কলমের এডস দেখানো।এখন আমরা যদি একটি কৃষক কে কোনো কলমের এড দেখাই তবে কিন্তু এতে কোনো লাভ ই হবে না।শুধু শুধু আমাদের একটি পয়েন্ট নষ্ট হয়ে যাবে। তাই আমাদের উচিত হবে শুধু মাত্র যারা ক্রেতা তাদের টার্গেট করেই মার্কেটিং করা।এই কাজটি করবে গুগল। অর্থাৎ গুগল একজনকে ভিক্টিম বানিয়ে তারপর তাকে এডস দেখানো।
শেষ কথা-
আসলে এই এডস এর বিষয়টি অনেকটা বিস্তারিত বলতে গেলে এমন আর্টিকেল আরো ১০০ টার মতো লাগবে।এইটা অনেকটা জায়গা জুড়ে বিস্তৃত হয়ে আছে।আমি আজকে এখানে ট্রাই করেছি এডস সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা। অনেক কিছুই এখানে বলা সম্ভব হলো না। এতো কিছু আবার লিখেও বোঝানো সম্ভব না। আর কথা বাড়াব না।আজ এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন।
The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url