ইনস্টিটিউটের বড়ভাইয়েরা কেটে নিল আঙুল!
বগুড়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের মেধাবী শিক্ষার্থী আনারুলের দুটি আঙুল কেটে নিয়েছে ইনস্টিটিউটের বড় ভাইয়েরা। এর প্রতিবাদ করে ফেসবুকে লিখেছেন ফারজানা ইয়াসমিন। তার লেখা পোষ্ট নিচে দেওয়া হলো-
বর্বরতা যখন আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ে 😢
বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মেধাবী ছাত্র আনারুলের হাতের ২ টি আংগুল কেটে দিয়েছে ইনস্টিটিউট বড় ভাইয়েরা।
ধামইরহাটের মেধাবী ছাত্র আনারুলের হাতের ২ টি আংগুল কেটে দিয়েছে ইনস্টিটিউটের বড় ভাইয়েরা। জানাগেছে, আনারুল ২০১৭ সালে ধামইরহাট উপজেলা সদরস্থ সফিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ -৫ পেয়ে এসএসসি পাস করে। পরে বগুড়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এ ভর্তি হন। বর্তমানে সে ৫ম সেমিস্টারে অধ্যায়নরত। মেসে থেকে পড়তে হলেও দিতে হবে চাঁদা এমন দাবি না মানায় ডান হাতের দুই টি আংগুল কেটে দিয়েছে ছাত্র নামধারী কিছু সন্ত্রাসীরা। গত ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল আনুমানিক ৯ টায় একই ইনস্টিটিউটেট ২ জন বড় ভাই
আনারুল (২২) পিতা নজরুল ইসলাম সাং চকউমর পাটারী পাড়া থানা ধামইরহাট,জেলা নওগাঁ। এর মেসের রুমে ঢুকে প্রথমে মূখে কাপড় গুজে দিয়ে একটি ওয়াশ রুমে নিয়ে হাত পিঠমোড়া করে প্লাস দিয়ে ডান হাতের ২ টি আংগুল কেটে দিয়েছে। পরে তাকে অনেকটা গোপনে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে সে গ্রামের বাড়ীতে রয়েছে।
তার মা সাহারা খাতুন জানান, আমি খুব গরীব মানুষ। চেয়ে এনে ছেলেকে লেখা পড়া করাচ্ছি। সেখানে সন্ত্রাসীরা আমার কলেজ পড়ুয়া ছেলের হাত কেটে দিয়েছে আমি এর কঠোর বিচার চাই। এত বড় ঘটনার পরও কলেজ কর্তৃপক্ষ ও বগুড়া সদর থানা কি ভূমিকা পালন করেছেন? এমন প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র।
অদ্য ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে আনারুলের বাড়ীতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সে একটি ছোট বেড়ার ঘরে শুয়ে রয়েছে। জ্বানালা নেই। বাড়ীতে খাবার নেই। চিকিৎসাও ঠিক মত হচ্ছে না। প্রথমে কথা বলতে চাননি। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বললেন, আমার জীবনতো শেষ। আপনি পারলে স্থানীয় সমাজ সেবা অফিসে বলে একটা প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দিলে ভালো হয় কারণ আমি অনেক গরীব।
ভিকটিমকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় মুখ খুলছেন না বলে তার মা জানান।
লিখেছেন -
ফারজানা ইয়াসমিন (ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
The DU Speech-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন, প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়
comment url